রাজ‍্যসভার তৃণমূল সাংসদকে বিশ্বাসঘাতক বললেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ

12th February 2021 10:47 pm বাঁকুড়া
রাজ‍্যসভার তৃণমূল সাংসদকে বিশ্বাসঘাতক বললেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   "বিশ্বাসঘাতক"। ঠিক এই ভাষাতেই পদত্যাগী রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে আক্রমণ করলেন ঐ দলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যাণ্ডে দলীয় এক প্রতিবাদ সভা থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় শুরু থেকেই দীনেশ ত্রিবেণীকে চাছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন l তিনি বলেন বিজেপির সঙ্গে টাচে থেকে বেস্ট পার্লামেনট্রিয়ানের সম্মান পেয়েছেন দিনেশ ত্রিবেদী , উনি সারাজীবন বিজেপির রাজনৈতিক দালালি করেছেন । এদিন দিলীপ ঘোষ কেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি ।  দিলীপ ঘোষ কে ক্ষেপা ষাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করেন । সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, নাটক করে আজ রাজ্যসভার বক্তৃতার মাঝে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এরপরেই তৃণমূল থেকে তিনি কি পাননি তার খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, দলের প্রথম রাজ্যসভার সাংসদ, পরে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ, ২০০৯ এ ক্যাবিনেট মিনিস্টার, পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে রেল মন্ত্রী হন। দলের পলিসির বাইরে গিয়ে দলনেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে রেলের টিকিটের দাম বাড়িয়েছিলেন। পরে দলীয় নির্দেশে যদিও তিনি পদত্যাগ করেন। আবার লোকসভায় ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত হলেও দিদির ভালোবাসার জোরে রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি। একই সঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদী দলের জন্য কিছুই করেননি বলে তিনি দাবি করেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।